দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে ১৫ এপ্রিল বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন।
বর্ণিল পোশাকে সেজে আসা শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ উপস্থিতিতে হাইকমিশন প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে। ঢোল, একতারা, বাঁশি, মুখোশ, কুলা আর আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের নানা সামগ্রী অনুষ্ঠানে আগতদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে।
‘এক বাংলাদেশি এক ব্রুনাইয়ান’ স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এই প্রাণের মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। মেলায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা, ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, কুটির শিল্প, দেশি পোশাকের স্টল সাজিয়ে বসে। ‘এসো হে বৈশাখ’ শীর্ষক চিরকালীন গানটি সম্মিলিত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এরপর সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে শিল্পীরা সবাইকে দিনভর মাতিয়ে রাখেন।
আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ব্রুনাই দারুসসালাম শাখার সভাপতি মো. মোস্তফা রেজা আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাহারুল আলম, হামিদুল ইসলাম। এছাড়াও ছিলেন নজরুল ইসলাম ও সবুজ মির্জা। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহযোগিতায় মেলার বিশেষ আকর্ষণ ‘বৈশাখী র্যাফেল ড্র’ বিজয়ীদের হাতে আকর্ষণীয় ২০টি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এ দিনে আমরা পুরনো জীর্ণ আর ক্লেদ সরিয়ে সম্মুখ যাত্রার শুভ উদ্বোধন করি। সঙ্গীত-নৃত্য-কবিতা আর মঙ্গলালোকের শুভ উচ্ছ্বাসের ভেতর দিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নেই।
এসময় তিনি নতুন বছরে সরকার ও দেশের সর্বাঙ্গীন সাফল্য এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এইচএ/