১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রিয়াদ মিশনের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সভায় রিয়াদ মিশনের উপ-প্রধান ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিলো। ১৯৭২ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন জাতির জন্য স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনা। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য কাজ করছিলেন তখনই ঘাতকরা তাকে হত্যার মাধ্যমে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। তার গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছে। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিদেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দূতাবাস। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটির আটটি স্কুলে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
সভায় দূতাবাসের মিনিস্টার এস এম আনিসুল হক মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান সফল করার জন্য কমিউনিটির নেতাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রথম সচিব (প্রেস) ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী ও ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান।
সভায় রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মুজিববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন। সভা শেষে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হয়। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র ও প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
টিআর/আরআইএস/