বরিশাল থেকে: ভোরের আলো তখনও ফোটেনি বরিশাল নগরীতে। রাতের শেষে প্রত্যুষের আগেকার স্নিগ্ধ সে মুহূর্তে শাপলা চত্বরের এলইডি লাইটের শুভ্র আলো যেন পথ দেখাচ্ছিল রাস্তায় বের হওয়া অল্প সংখ্যক নগরবাসীকে।
বরিশালে স্বাগত কিংবা তার স্বপ্নযাত্রা শুরুর সঙ্গীদের বিদায় সম্ভাষণ, যাই বলা হোক না কেন- জানিয়েছেন আরও একজন। মাত্র সুন্দরবন-১০ ভিড়েছে বরিশাল নদীবন্দরে। সর্বোচ্চ আধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধা নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে যাত্রা শুরু করা লঞ্চটির নিচতলায় প্রথম দিনের যাত্রীদের নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিদায় জানান মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু।
তার দীর্ঘ ত্রিশ মাসের পরিশ্রমের ফল দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বোচ্চ যাত্রীধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিলাসবহুল লঞ্চটি। সুন্দরবন-১০ এর উদ্বোধনী যাত্রা সফল হওয়ার তৃপ্তি ছিল তার চোখে-মুখে।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে বরিশাল নগরী। সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনের হাতের পরশে মসৃণ ও প্রশস্ত সড়কসহ নানা উন্নত সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন নাগরিকরা। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সদর রোডে হিরন চত্বর গড়া হয়েছে। সৌন্দর্যময় এ চত্বরও যেন স্বাগত জানাচ্ছিল রাস্তায় বের হওয়া মানুষজনকে।
দেশে প্রথমবারের মতো লিফট-সিসিইউসহ প্রযুক্তি সুবিধা সম্বলিত লঞ্চটি ঘাটে ভেড়ার পর প্রথম যাত্রার আনন্দময় অভিজ্ঞতা ছিল যাত্রীদের চোখে-মুখেও। রাত জেগে প্রত্যাশিত সর্বোচ্চ সেবা দিতে পেরে পরিতৃপ্ত এর বিভিন্ন স্তরের ৬০ জনের মতো কর্মী। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার সময় কেবিন বয় মো. রেদোয়ান তাই বললেন, ‘অনেক ভালো লাগছে এতো বড় একটা জাহাজ ভালোভাবেই চলতে শুরু করলো বলে’।
বরিশাল সদরের চর কাওয়ার বাসিন্দা ২২ বছরের এই যুবক ৮ বছর ধরে সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির সঙ্গে আছেন। নিজের এলাকায় তাই ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের স্বাগত জানালেন রেদোয়ানও।
আরও পড়ুন..উদ্বোধনী যাত্রায় উৎসবমুখর সুন্দরবন-১০
প্রথম যাত্রায় যাত্রীতে পরিপূর্ণ সুন্দরবন-১০
বাংলাদেশ সময়: ০৮২১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
এএসআর/টিআই