রেমা-কালেঙ্গা, হবিগঞ্জ ঘুরে: রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে রয়েছে ৬৩৮ প্রজাতির গাছপালা-লতাপাতা, ৭ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৬৭ প্রজাতির পাখি ও ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে আছে কালো বন্যশূকর, সাদা বন্যশূকর, বানর, হনুমান, মুখপোড়া হনুমান, খরগোশ, ছোট হরিণ, মেছোবাঘ, মেছোবিড়াল, বনকুকুর বা রামকুত্তা ইত্যাদি।
ত্রিপুরা, সাওতাল, উড়ং- তিন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস এই বনে।
হেঁটে বন ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা এবং তিন ঘণ্টার ট্রেইল। তিন ঘণ্টার ট্রেইলে ১০/১২ মিনিট হেঁটে গেলে চোখে পড়বে কিছুটা ঘন গাছপালা। তাকে বন বলা চলে না। আর এর মাঝে রাস্তার দু’পাশে চাষের জমি আর বাড়ি-ঘর।
বন উজাড় করে রেমা-কালেঙ্গায় ধানসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করা হচ্ছে। বন বিভাগের উদাসীনতায় দিন দিন কমছে বন, বাড়ছে চাষের জমি।
সরেজমিনে জানা গেছে, গত এক বছরের মধ্যে অনেকগুলো চাষের জমি সৃষ্টি করা হয়েছে।
বনে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সুন্দর একটি লেক। বন্যপ্রাণিদের খাবার পানির চাহিদা মেটাতেই এটি তৈরি করা হয়েছে। লেকের ওপারে দেখা মেলে চশমাপরা হনুমানের। তারা অবলীলায় এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছোটাছুটি করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়ার দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবেই।
লেকের পাশে ওয়াচ টাওয়ারে উঠেও বন দেখা যেতে পারে। তবে বড় বড় গাছপালার কারণে দূরের কিছুই তেমন আর দেখা যায় না।
হাঁটতে গিয়ে চোখে পড়েছে প্রজাপতি আর অজানা কয়েকটা পোকা-মাকড়ও। দূরের ধানক্ষেতে দেখা মিললো বনমোরগেরও।
বনে আরও আছে হিংস্র বানরের দল, যাদের ভেংচি কাটলে তেড়ে আসে। জোঁক, মাকড়সা, বনজীবীদের পালিত গরু ছাড়াও দেখা মিলবে আরও পশু-পাখির।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
এমআই/এসএইচ/এএসআর
**ঘুরে আসুন রেমা-কালেঙ্গা-১
** শ্রীমঙ্গল কৃষি কর্মকর্তার ‘ডিজিটাল বালাইনাশক নির্দেশিকা’
** শ্রীমঙ্গলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র বধ্যভূমি’৭১ পার্ক
** লক্কর-ঝক্কর মার্কা ট্রেন সিলেট-শ্রীমঙ্গল পর্যটনের অন্তরায়
** সিলেটের ট্রেনে হকার, হিজড়া, ভিক্ষুকের উৎপাত