টি হ্যাভেন রিসোর্ট থেকে: টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো এতো বড় হাওর বিশ্বের আর কোথায় আছে কি না সন্দেহ প্রকাশ করে এর অপার পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাশেদুল হাসান।
তিনি বলেছেন, বছরে দু’টি পর্যটন মৌসুম করা যেতে পারে টাঙ্গুয়ার হাওরে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে শ্রীমঙ্গলের টি হ্যাভেন রিসোর্টে বাংলানিউজের আয়োজনে ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: সিলেট পর্যটন’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তৃতা করছিলেন অধ্যাপক রাশেদুল হাসান।
তিনি বলেন, হাওর দেখার জন্য বর্ষা মৌসুম সবচেয়ে উত্তম। এসময় টাঙ্গুয়ার হাওরে যাবার একটি চিত্র বর্ণনা করেন তিনি।
রুট দেখিয়ে তিনি বলেন, এসময় নিঃশব্দে চলা শ্যালো বোট দিয়ে হাওরে ঘুরে আসা যায়। হাওরের টুইটম্বুর দৃশ্য তখন যে কারও ভালো লাগবে।
শীতকালের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসময় রুট পরিবর্তন হবে। তখন মানুষ ঘাট থেকে শ্যালো নৌকায় উঠে সকালের পাখি, দুপুরের পাখি, সন্ধ্যা এবং রাতের পাখি দেখতে পারে। এজন্য অবশ্যই নিঃশব্দে চলা বোট চালু করতে হবে।
বিভিন্ন দেশে ট্যুরিস্টদের জন্য যেসব নৌকা ও বিশেষ বোট চলে তার ছবিসহ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, এগুলোর দাম মাত্র ৩ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে হবে।
সকাল সাড়ে ৯টার পর বাংলানিউজের হেড অব নিউজ মাহমুদ মেননের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর বাংলানিউজের সিনিয়র আউটপুট এডিটর জাকারিয়া মন্ডল এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর আসিফ আজিজ ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: সিলেটে পর্যটন’ বিষয়ক পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন। প্রেজেন্টেশনে তারা সিলেটে পর্যটন সংক্রান্ত বাংলানিউজে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট তুলে ধরেন।
আলোচনায় সিলেট বিভাগের পর্যটন সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট একদল বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও রয়েছেন পর্যটক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারাও।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রাশেদুল হাসান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূইয়া, সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল হাই আল হাদী, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, সহযোগী অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আফজাল হোসেন, বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান, পর্যটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মোশাররফ হোসেন, সরীসৃপ গবেষক শাহরীয়ার সিজার রহমান ও ট্রাভেলার রিয়াসাদ সানভী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোবাশ্বির আলী মুন্না, সিলেট ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মো. ইউসুফ আলী, মানিক চাঁদ রুদ্র পাল, সৈয়দ রিফাত জামান রিজবী, ডিভিশনাল ট্যুর গাইড অ্যাসিয়েশনের খালেদ হোসেন, কামরান, আহাদ, শেখর রিজবী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ক্রেলের রিজওনাল কোঅর্ডিনেটর (নর্থ ইস্ট জোন) মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, ক্রেলের নর্থ ইস্ট জোনের কমিউনিকেশন অফিসার ইলিয়াস মাহমুদ, শ্রীমঙ্গল উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবিতা দাস প্রমুখ।
দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের এ অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় রয়েছে হোটেল শ্রীমঙ্গল ইন, টি হ্যাভেন রিসোর্ট, ইস্পাহানি, হোটেল নির্ভানা ইনসহ সিলেট-শ্রীমঙ্গলের শুভানুধ্যায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
এমআই/এমজেএফ/এসএনএস/এমএম/এমএ/এসএ/এইচএ/
** ট্যুরিজম বোর্ডের সমন্বয়ের অভাব
** সিলেট মাল্টিপল ডেস্টিনেশন অব মাল্টিপল অ্যাক্টিভিটিস
** বাংলানিউজের মতো টিম আরও থাকলে দেশ পিছিয়ে থাকতো না
**সিলেটের পর্যটন নিয়ে প্রোজেক্টরে চলছে প্রেজেন্টেশন
** পর্যটন বর্ষকে সফল করতে সিলেটের পর্যটন তুলে ধরছে বাংলানিউজ
**পর্যটন নিয়ে বাংলানিউজের বিশেষজ্ঞ আলোচনা শুরু
** পর্যটন নিয়ে শুরু হচ্ছে বিশেষজ্ঞ আলোচনা