খাগড়াছড়ি থেকে: খাগড়াছড়িতে রয়েছে আলুটিলার রহস্যময় গুহা, রিছাং ঝরনা, পানছড়ির অরণ্য কুটিরসহ বহু দর্শনীয় স্থান। অথচ এখানে পর্যটকরা আসেন মূলত রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত পর্যটন স্পট সাজেক যাওয়ার জন্য।
খাগড়াছড়িতে পর্যটনের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে পর্যটন শিল্প বিকশিত না হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে। এখানে আছে পরিবহন ও আবাসন সমস্যা। ভালো মানের পরিবহন কিংবা হোটেল-মোটেল না থাকলে পর্যটকরা সেখানে যান না। পর্যটনের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার অভাব থাকলে সেখানে পর্যটকরা যান না।
খাগড়াছড়িতে পর্যটন বর্তমানে সম্পূর্ণ নিরাপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে সম্প্রতি পর্যটন মোটেল নির্মিত হয়েছে। কিছু ভালো মানের হোটেলও হয়েছে। প্রত্যেক হোটেলে হোটেলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়িতে ট্যুরিস্ট গাইড কালাচার এখনও গড়ে ওঠেনি। ট্যুরিস্ট গাইড কালাচার গড়ে উঠলে গাইডদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও সহজ হতো। কেননা গাইডই বলে দিতো কোন স্থানে যাওয়া নিরাপদ আর কোন স্থানে যাওয়া নিরাপদ নয়।
পর্যটকদের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রয়োজন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মজিদ আলী বলেন, যতোদিন ট্যুরিস্ট পুলিশ হচ্ছে না, আমরাই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। এ নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না।
পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পারস্পরিক আস্থার সংকট ও দূরত্ব ঘোচানোর মাধ্যমে সম্প্রীতি আরও মজবুত হবে। আইন-শৃঙ্খলাও ভালো থাকবে। পাহাড়ি-বাঙালি দূরত্ব এখন কমে এসেছে। পাহাড়িরা জঙ্গল ছেড়ে সমতলে আসতে শুরু করেছেন। ভালো ভালো পদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
এমআই/এসএনএস