বান্দরবান থেকে ফিরে: পর্যটন নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে সব ধরনের উদ্যোগই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এর মধ্যে ‘ব্যতিক্রম’ কিছু কার্যক্রম সবার জন্য শিক্ষনীয়ও বটে।
পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পাহাড়ি পথে চলতে গেলে সবার আগে পছন্দের তালিকায় উঠে আসে চান্দের গাড়ির নাম। সবার কাছে সমান জনপ্রিয় এ গাড়িতে চড়ে বান্দরবান শহরসহ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে থাকা পর্যটন স্পটগুলো বেড়াতে এ গাড়ির বিকল্প নেই।
এমনি এক গাড়িতে হঠাৎই চোখে পড়লো একটি প্লাস্টিকের ঝুড়ি। পলিথিনে মোড়ানো টিয়া রঙের ঝুড়িটি মূলত ‘ডাস্টবিন’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনটিই জানালেন চালক অঞ্জন।
আর ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের পাশে গড়ে ওঠা হলিডে ইন রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব পর্যটক আমাদের গাড়িতে ওঠেন তাদের গাড়িতে ওঠার আগেই এ বিষয়ে বলা হয়, ময়লা-আবর্জনা ঝুড়িতে ফেলতে হবে। এরপরও যদি কেউ ময়লা না ফেলেন তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী চালক তা কুড়িয়ে ওই ঝুড়িতে রাখেন।
মূলত পর্যটন নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেই এ উদ্যোগ বলে জানান তিনি। বর্তমানে একটি গাড়ির মাধ্যমে চলছে এ কার্যক্রম।
নিজেদের রিসোর্টের অতিথি আনা-নেওয়া ছাড়াও পর্যটকরা চাইলে তাদের চান্দের গাড়িটি ভাড়া নিতে পারেন। তবে যেখানে-সেখানে নয়, ময়লা ফেলার বিষয়ে পর্যটকদের বিষয়টি খেয়াল রাখার কথা বলেন জাকির হোসেন।
গাড়িটিতে যারা চড়েছেন ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগটি তাদের নজরে এসেছে। কুড়িয়েছে প্রশংসাও। অনেকেই বলছেন, এভাবেই শুরু হোক পরিচ্ছন্ন পর্যটন। একইসঙ্গে জরুরি সবার সচেতন হওয়া। তাহলেই আলোর মুখ দেখবে যে কোনো উদ্যোগ।
শুধু একটি গাড়ি নয়, পরিবহন মালিকপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পর্যায়ক্রমে সব চান্দের গাড়িকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে পারে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
** কেওক্রাডংয়ে স্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্ন!
**দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম ‘পাসিংপাড়া’
** লাইসিয়াম বমের হাতে একদিনে শীতের চাদর
** বগালেকে রাতে অ্যাডভেঞ্চারাস ট্রেকিং
** শিক্ষক থেকে পর্যটনের অগ্রদূত একজন সিয়াম দিদি
** পাহাড়িদের পছন্দ ‘হাঙর শুটকি’
** ঠোঁট লাল করা পাহাড়ি ‘ছোট পান’
** ব্রিজের সঙ্গে পর্যটন ডুবেছে কাপ্তাই লেকে
** ‘রিছাংবান্ধব’ নন পর্যটকরা!
** রিছাং রোমাঞ্চ!
** মেঘের ভেলায় ভেসে মেঘ-পাহাড়ের দেশে
** ঝালেই পাহাড়িদের পছন্দ ‘সুমরিচ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
জেডএস/জেডএম