শুক্রবার (১৭ মে) জুমায় নামাজে শহরের মসজিদগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নামাজেই আগেই মসজিদগুলো পরিপূর্ণ হয়ে রাস্তায় চলে আসে মুসুল্লিদের সারি।
সবার উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের সব অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও নিজের জন্য কিছু চাওয়া।
প্রতিটি মসজিদের নামাজের আগে বিশেষ বয়ান এবং নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতের মুসুল্লিদের বিভিন্ন গুনাহ উল্লেখ করে তার থেকে মুক্তি চাওয়া হয়। মৃত ব্যক্তিদের জন্য, অসুস্থদের জন্য দোয়া করা হয়, দেশ জাতি ও বিশ্ববাসীর শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয় এবং সমস্ত বিশ্বের মুসলিম উম্মাহের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
নামাজের পর অনেকে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসুল্লিরা। সবাই নিজ নিজ গুনাহের কথা স্মরণ করে এসময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। বয়স্ক, যুবক,তরুণ ও কিশোর সবাইকে দেখা গেছে মোনাজাতে কান্নারত হয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে মার্জনা চাইতে।
নামাজের পর মুসুল্লিদের অনেকেই বিভিন্ন কবরস্থানে গিয়ে আপনজনদের কবর জিয়ারত করেছেন। এসময় কান্নাজড়িত হয়ে কবরের পাশে অনেকেই দোয়া দুরুদ পড়েন এবং কবরবাসীর জন্য জান্নাত ও নাজাত প্রার্থনা করেন। অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কবরের পাশে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও সূরা তেলাওয়াত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এসএইচ