ঢাকা: আদালতের আদেশে পাকিস্তান সফর বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’কে এখন বিকল্প চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিসিবি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপের প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও একই নীতি মেনে চলবে ক্রিকেট বোর্ড। বড় দৈর্ঘ্যরে কোন ম্যাচই খেলবে না। বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল শনিবার সাংবাদিকদের বললেনও, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় দলের কোন আন্তর্জাতিক খেলা নেই। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সেজন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে আহ্বান জানিয়েছি আমাদের সাথে খেলার জন্য। আমরা তাদের ওখানে গিয়েও খেলতে পারি। আবার তারা যদি চায় আমাদের এখানে এসে খেলতে পারে। বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ছাড়া বড় দৈর্ঘ্যরে কোন ম্যাচ খেলবো না আমরা। ’
বিসিবি সভাপতি জানান, তিনটি ওয়ানডে এবং পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার প্রস্তাব করে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করতে রাজি আছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ঢাকায় এসে খেলতে রাজি হলে তাদেরকে আতিথেয়তা দেবে বিসিবি। খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি ছাড়া যাবতীয় খরচ বহন করবে স্বাগতিক বোর্ড। সেক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পরিবর্তে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজও হয়ে যেতে পারে।
মোস্তফা কামালের মতে, ‘জিম্বাবুয়ের সাথে আমার কথা হয়ে আছে তারা আসতে রাজি। দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের এখানে এলে জিম্বাবুয়েকেও আমন্ত্রণ করা হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা চাইলে তাদের ওখানেও জিম্বাবুয়ে খেলতে রাজি। ’
আসলে সবকিছু নির্ভর করছে যাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে সেই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর। তারা রাজি হলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের অতিথি হতে চাইলে মে’র মাঝামাঝি সময়ে ত্রিদেশীয় বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করবে বিসিবি।
সেক্ষেত্রে জাতীয় দলের আয়ারল্যান্ড সফরের বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে শেষপর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। যদিও এবিষয়ে বোর্ডে কোনো আলোচনা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
এসএ
সম্পাদনা: চঞ্চল ঘোষ, নিউজরুম এডিটর