ঢাকা: ওয়ালটন জাতীয় লিগের সেমিফাইনালে ঢাকা মেট্রো ও খুলনা বিভাগের প্রথম দুই দিনের খেলায় ক্রিকেট দর্শকদের দৃষ্টি আটকে থাকলো আনামুল হক বিজয়ের ইনিংসের ওপরই। আগের দিনের শতককে শেষপর্যন্ত তিনি দ্বিশতকে নিয়ে যেতে না পারলেও ১৯৩ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলেছেন।
সাত রান দূরে থাকতে তার ব্যাট থেমেছে ঢাকা মেট্রোর পেস বোলার তারেক আজিজ এলবিডব্লুর ফাঁদে। ২৭টি চার ও ২টি ছয়ে ২৬৪ বলে নান্দনিক ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন তখন খুলনার সংগ্রহে পাঁচ উইকেটে ৪০৫ রান। তাপস ঘোষ তাতে অপরাজিত ১১১, জিয়াউর রহমন ৬৩ ও ডলার মাহমুদ ৪৬ রান যোগ করলে অষ্টম উইকেট পতনের সময় খুলনার স্কোর ছিলো ৬১৮ রানে। এই বিশাল সংগ্রহে ইমরুল কায়েসের ৮৭ রানও আছে। ৬১৮ রান হওয়ার পর প্রথম ইনিংস ঘোষণা দেয় খুলনা।
পরে ব্যাট করতে গিয়ে ঢাকা মেট্রো দিনের খেলা শেষ করে দুই উইকেটে ১১৮ রান নিয়ে। ঢাকা মেট্রোর তাসামুল হক ৫৪ ও শামসুর রহমান ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন। খেলার এখনো আরও দুই দিন অবশিষ্ট আছে। মেট্রোর পক্ষে অত বড় স্কোর তাড়া করে লড়াইয়ে টিকে থাকা কঠিন চ্যালেঞ্জ। বরং খুলনা ভালো বোলিং করতে পারলে ম্যাচটা জিতেও যেতে পারে। অমীমাংসিত ভাবে শেষ হলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে এবং বোনাস পয়েন্ট থাকায় খুলনার হাতেই উঠবে ফাইনালের টিকিট। অবশ্য রোববার হরতালের কারণে খেলা বন্ধ রাখায় ছন্দপতন ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে অতবড় স্কোর চ্যালেঞ্জ করে ঢাকা মেট্রো কোন অঘটনের জন্ম দিতে পারার কথা নয়।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আরেক সেমিফাইনালে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহী বিভাগ তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে আট উইকেটে ৩৮৭ রান নিয়ে। রাজশাহীর মিজানুর রহমানের শতক হয়েছে প্রথম দিনই। ১০৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। দলের আরেক ওপেনার জহুরুল ইসলাম ৮৭ রান করেছেন। সাব্বির রহমান রুম্মান ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তিন উইকেটে ১৫২ রান করতে পেরেছে সিলেট। রাজিন সালেহ ৪৩ রান করে আউট হলেও নাদিফ চৌধুরী ৫৫ রানে অপরাজিত আছেন। জন্মদিনের পার্টির জন্য এই অর্ধশতকও নাদিফের প্রেরণা।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
এসএ