ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়বে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়বে

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেছেন, অল্প কিছু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দিতে পারছি (ক্ষতিপূরণ), এটা আনন্দের। তবে আইন-কানুন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হতে হবে।

যেন কেউ কোনো বিনিয়োগকারীর টাকা আত্মসাৎ করতে না পারে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়বে।  

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নিকুঞ্জে ডিএসই ভবনে চার ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে আনুপাতিক হারে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই চারটি প্রতিষ্ঠানে টাকা আত্মসাতের পর নতুন করে কেউ আর আত্মসাৎ করতে পারেনি। এটা বন্ধ করতে নতুন আইন করতে হয়নি। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে, মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাদের হাতে কিছু টাকার চেক তুলে দিতে পারছি৷ আমরা আশা করছি পর্যায়ক্রমে সব বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধ করতে পারবে৷ আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে বাজারে একটা ইতিবাচক বার্তা যাবে। আমরা সব পাওনা পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷  বিনিয়োগকারীরা যেন এ ধরনের ঘটনায় ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি৷

ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু বলেন, ডিএসইতে একটা যাত্রা শুরু হলো৷ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দরকার আছে৷ অল্প পরিসরে হলেও আমরা প্রমাণ করতে পারলাম, আমরা বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করি, আমরা বিনিয়োগকারী বান্ধব৷ তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই৷ আজকের এই চেক হস্তান্তর বাজারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা শুধু বড় বড় বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবি না, ছোট ছোট বিনিয়োগকারীদের কথাও চিন্তা করি৷

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা জনাব খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিনের নির্দেশ অনুযায়ী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লি., বাঙ্কো সিকিউরিটিজ লিমিটেড, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কো. লিমিটেডের যেসব ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে ডিএসইতে অভিযোগ দাখিল করেছেন, শুধুমাত্র সেইসব বিনিয়োগকারীদের ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে ২৫ কোটি টাকা তাদের নিজ নিজ বিও হিসাবে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আনুপাতিক হারে প্রাপ্য অর্থ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে ১১ ডিসেম্বর দুজন বিনিয়োগকারীর হাতে দুইটি চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে চারটি ব্রোকারেজ হাউজের আট হাজার ৫৮১ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীকে আনুপাতিক হারে বিইএফটিআইএন এর মাধ্যমে ২৫ টাকা কোটি পরিশোধ করবে৷

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এসএমএকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।