ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেনে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ০৭ পয়েন্ট। তবে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
অপর শেয়ারবাজার সিএসই’র সব সূচক বৃদ্ধি পেলেও কমেছে লেনদেন। সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৭ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩২ পয়েন্ট।
এছাড়া গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৭০২টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৭০২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৫৩ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
তবে সপ্তাহজুড়ে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট এবং শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমেছে।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৯ হাজার ২৩৪পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচকে মিশ্র প্রবণতা ছিল। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট তিন হাজার ৬০৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৮ টাকা।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৬৯৮ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৭০১ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪০টির, কমেছে ১৪৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির দাম। লেনদেন হয়নি একটি প্রতিষ্ঠানের।
আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল ২১৭টির, কমেছিল ৭৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৮টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৭২১ কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৮ টাকা; যেখানে আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৭৩৯ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ১০৪ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
তবে ডিএসইতে বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৮৬ কোটি ৩৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৮২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৭টি।
সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বৃদ্ধির ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো-রহিম টেক্সটাইল (৩০ দশমিক৭০ শতাংশ), স্টাইল ক্রাফট (১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ), পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ), ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স (১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ), বিএটিবিসি (১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ), লিবরা ইনফিউশন (১৩ দশমিক ১০ শতাংশ), সাউথইস্ট ব্যাংক (১১ দশমিক ২২ শতাংশ), সেন্ট্রাল ফার্মা (১১ দশমিক ১৬ শতাংশ), ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স (১১ দশমিক ০০ শতাংশ) এবং নিটল ইন্স্যুরেন্স (১০ দশমিক ১৬ শতাংশ)।
অন্যদিকে, সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানি হলো- বঙ্গজ (১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ), অ্যাপেক্স ট্যানারি (১১ দশমিক ০৩ শতাংশ), সমতা লেদার (১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ), বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক (৯ দশমিক ৮১ শতাংশ), সমরিতা হাসপাতাল (৯ দশমিক ৩০ শতাংশ), সিয়ামপুর সুগার (৯ দশমিক ৩০ শতাংশ), সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ (৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ), প্রাই ফিন্যান্স মি. ফান্ড (৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ), পদ্মা অয়েল (৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ) এবং গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো (৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪