ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৮৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট, ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে ০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
তবে ডিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে সব সূচক ও লেনদেন কমেছে। সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৬১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৩৬ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক কমেছে ২৬৭ পয়েন্ট। এছাড়া গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৮ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৫ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৮৪৫ দশমিক ০৯ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৫৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৮৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেলেও ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে ০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৯ হাজার ৫২৩ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৬১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট দুই হাজার ৮৯৫ কোটি ৬৭ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৬৬৪ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৭ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮টির, কমেছে ২৪৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দাম। লেনদেন হয়নি ৪টি প্রতিষ্ঠানের। আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৪৯টির, কমেছিল ১৩৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৫৭৯ কোটি ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭৭ টাকা; এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৭৩২ কোটি ৯১ লাখ ০৭ হাজার ৪৯৫ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের সংখ্যা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৫৩ কোটি ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে শেয়ার হাতবদলের সংখ্যা ছিল ৮৭ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ২৩৩টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বৃদ্ধির ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হল- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল (১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ), ডেসকো(১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ), অ্যাপেক্স ট্যানারি (১১ দশমিক ৩০ শতাংশ), এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ (১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ), অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ (৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ), ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ), স্কয়ার ফার্মা (৭ দশমিক ৩০ শতাংশ), এসিআই ফরমুলেশন লিমিটেড (৭ দশমিক ০৭ শতাংশ), রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৭ দশমিক ০৫ শতাংশ) এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৬ দশমিক ২৫ শতাংশ)।
সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হল- স্টাইল ক্রাফট (১৪ দশমিক ০০ শতাংশ), জিএসপি ফিন্যান্স (১১ দশমিক ১৯ শতাংশ), দেশ গার্মেন্টস (১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ), পিপলস ইন্স্যুরেন্স (১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ), প্রাইম ফিন্যান্স ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড (১০ দশমিক ১৩ শতাংশ), লিবরা ইনফিউশন (৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ), লিগ্যাসি ফুটওয়্যার (৯ দশমিক ৫২ শতাংশ), ইউনিয়ন ক্যাপিটাল (৯ দশমিক ২৮ শতাংশ), আইএফআইসি ব্যাংক (৯ দশমিক ০৭ শতাংশ) এবং এবি ব্যাংক(৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪