ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে আর বড় ধরনের কোন জালিয়াতি হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, পুঁজিবাজারে আর বড় ধরনের কোন জালিয়াতির সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শান্তি নারায়ন ঘোষ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম। বিডিবিএল এর বার্ষিক কনফারেন্স উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধস নামে। এরপর আমরা গত তিন বছরে ব্যাপক সংস্কার করেছি। আইন, নীতি ও বিধানের ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত ব্যাপক পরিবর্তন আনতে অনেক দেশের ১০ থেকে ১৫ বছর লেগে যাওয়ার কথা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অন্যদের মতো জোর করে বাস্তবায়নে যাইনি। স্বাভাবিকভাবেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মুহিত আরও জানান, পুঁজিবাজার এখন অনেক স্থিতিশীল। এটা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বদনাম রয়েছে। তাদের ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ড. এম আসলাম আলম বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। কোন আর্থিক সূচকেই ভালো বলা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিডিবিএল প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ব্যাংকটি ভালো করলেও এর খেলাপি ঋণ মোট ঋণের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এটি নামাতে হবে। তাছাড়া পরিচালনা মুনাফা ২২৫ কোটি টাকা দেখালেও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়েছে ২৯৮ কোটি টাকা। যদি এক বছর এই প্রভিশন রাখা হতো তবে লোকসানে যেতে হত ব্যাংকটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪