ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসই লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৫০ দশমিক ২৪ পয়েন্ট, ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট।
এদিকে সপ্তাহজুড়ে সিএসই’র সকল সূচক কমেছে। সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৮০ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩৯ পযেন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট। এছাড়া গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৪ কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৯৭৮ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৭৪৯ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৯৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৫০ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমেছে। শরীয়াহ সূচক ৮ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়েছে।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৯ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২০৭ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৯০ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচকে মিশ্র প্রবণতা ছিল। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট দুই হাজার ৩১০ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৩৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৭ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২১৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৯২টির, কমেছে ১৯২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৫টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসের ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৪৬২ কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা; যেখানে এর আগের সপ্তাহে গড় ছিল ৫০৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৪৪ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার ২৪৮টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স (২৩ দশমিক ০২ শতাংশ দাম বেড়েছে), স্টান্ডার্ড সিরামিকস(২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ), মারিকো(২০ দশমিক ৬৯ শতাংশ), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ), স্কয়ার টেক্সটাইল (১১ দশমিক ২৫ শতাংশ), ন্যাশনাল টিউবস (১১ দশমিক ২২ শতাংশ), মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স (৮ দশমিক ৫১ শতাংশ), আইসিবি(৮ দশমিক ১০ শতাংশ), স্টাইল ক্রাফট (৭ দশমিক ০৩ শতাংশ) এবং গ্লাসগো স্মিথ ক্লাইন(৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- রিলাইয়েন্স ইন্সুরেন্স (১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ দাম কমে), প্রাইম ফিন্যান্স (১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ), উত্তরা ফিন্যান্স (১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ), রহিমা ফুড (১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ), ডাচ-বাংলা ব্যাংক (১০ দশমিক ৮০ শতাংশ), নর্দান জুট(৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ), জেমিনি সি ফুড (৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ), লংকা-বাংলা ফিন্যান্স (৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ), মেঘনা কনডেন্সড (৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ) এবং ফনিক্স ফিন্যান্স (৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৪