ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার মূল্যসূচক কমে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে খাত ভিত্তিক লেনদেনে জ্বালানি খাতের অবদান প্রায় ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত প্রায় ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ব্যাংক ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত প্রায় ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রকৌশল ৬ দশমিক ১১ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সকালে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ সূচক বৃদ্ধি পেলেও দিনভর সূচক বেশ ওঠানামা করে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় সর্বোচ্চ ৩৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। পরবর্তীতে সূচক আবারও নিম্নমুখী হতে থাকে। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক দিনের সর্বনিম্ন ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে।
ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৫টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৪০টির দাম।
ডিএসইতে টাকার ভিত্তিতে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্স ফার্মা, যমুনা অয়েল, স্কয়ার টেক্সটাইল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, গ্রামীণ ফোন এবং পদ্মা অয়েল।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসইএক্স সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৯ হাজার ১৪৪ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২ হাজার ২৯৭ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৪ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার কিছু বেশি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৪