ঢাকা: সম্প্রতি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণ (ডিমিউচ্যুয়ালাইজড) সম্পন্ন হয়েছে। আর এ ‘এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট ২০১৩’র দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন ডিএসই’র এক শেয়ারহোল্ডার।
জানা যায়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডার ফয়সাল কবির চৌধুরী তার প্রাপ্য শেয়ার না পাওয়ায় সম্প্রতি উচ্চ আদালতে এ রিট পিটিশন দায়ের করেছেন।
ইতিমধ্যে উচ্চ আদালত অর্থমন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ডিমিউচ্যুয়ালাইজড ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে (তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) ওই দুটি ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। তবে ১৭ মার্চ শেষ দিন থাকলেও সরকারি ছুটির দিন থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
আদালতে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্টের যে দুইটি ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে তার মধ্যে ৮(বি) ধারায় বলা হয়েছে- প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারগণের অনুকূলে অজড় (ডিমেটেরিয়ালাইজড) অবস্থায় শেয়ার বরাদ্দ করিবে, যাহা কোনো সময় বা কোনো কারণেই জড় (রিমেটেরিয়ালাইজড) অবস্থায় রূপান্তর করা যাইবে না।
অন্যদিকে, ১২(১) (এ) ধারায় বলা হয়েছে- ব্লকড হিসাবে প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক সাময়িকভাবে ধারণকৃত শেয়ার ব্যতীত, ট্রেকহোল্ডারগণ এবং তাহাদের সহিত সম্পর্কিত ব্যক্তি কর্তৃক সামষ্টিকভাবে ধারণকৃত শেয়ার উহার মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের শতকরা ৪০ ভাগের অধিক হইবে না।
এদিকে ডিএসই বলছে, ১২(১)(এ) সেকশন অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডাররা (ডিএসই’র সদস্য) ইতোমধ্যে তাদের প্রাপ্য শেয়ারের ৪০ শতাংশ পেয়েছেন। যা তাদের প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে বিও অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ফয়সাল কবির বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রোপ্রাইটরশিপ পরিবর্তন করে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেননি। এমনকি কোম্পানির বিপরীতে কোনো বিও একাউন্টও খোলেননি। তাই তার শেয়ারও পাঠানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪