ঢাকা: পরীক্ষামূলক পরিশোধন কার্যক্রম শেষে পূর্ণ জ্বালানি উৎপাদনে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি। ইতোমধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে কোম্পানিকে এ বিষয়ে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে কোম্পানিটি পরিশোধন পরবর্তী জ্বালানি তেল উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্লাকশনেশন প্লান্ট স্থাপন সম্পন্ন করে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতি বছর ৫০ হাজার এবং প্রতিদিন ১৫০ মেট্রিক টন পরিশোধন পরবর্তী জ্বালানি তেল উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ৩ অক্টোবর দেওয়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী যথাযথ নিয়মে প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে কি-না তা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং পেট্রোবাংলার প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করে এ অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি উৎপাদনের দাবি জানানো হলেও মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষ হওয়ায় কোম্পানিটি পূর্ণ উৎপাদনের অনুমতি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরুর পূর্বে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানিকে সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ পেতে গত ১৬ মার্চ সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির সঙ্গে একটি ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি করে।
শর্ত অনুযায়ী কোম্পানিটির পরীক্ষামূলক উৎপাদিত জ্বালানি বিপিসি এবং পেট্রোবাংলায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোম্পানিটির চাহিদা অনুযায়ী ৫০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সময় বাইপ্রোডাক্টগুলো সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু সিভিও পেট্রোকেমিকেল কোম্পানিতে কনডেনসেট ফ্লাকশনেশন প্লান্ট স্থাপন করায় সেখান থেকে পেট্রোল, ডিজেল, এমটিটি এবং থিনার উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
উৎপাদিত পেট্রোল ও ডিজেল পেট্রোবাংলাকে সরবরাহ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৪