ঢাকা: বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) নতুন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য পাইলট প্রকল্প আগামী এপ্রিল মাসে শুরু করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তবে এপ্রিলের কবে নগাদ শুরু করা হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি।
রোববার বিএসইসিতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
বৈঠক শেষে সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হেসেন বলেন, ‘আজ আইপিও প্রক্রিয়া সহজিকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ব্রোকারেজ হাউজের ব্যাক অফিস সফটওয়্যারগুলো মডিফাই করা, অ্যালট লেটার ইলেক্ট্রোনিক করা, ব্রোকারেজ হাউজ গুলোর ইন্টারেস্ট প্রাপ্তি এবং রিফান্ড ওয়ারেন্ট।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইপিও প্রক্রিয়া চালু করার আগে ব্রোকারেজ হাউজের ব্যাক অফিস সফটওয়্যারগুলো দ্রুত মডিফাই করা হবে। অ্যালট লেটারগুলো ইলেক্ট্রোনিক করা হবে। আগের মতো পেপার বেজড থাকবে না। বর্তমানে ইস্যুয়ার কোম্পানি ইন্টারেস্ট পেয়ে থাকে। নতুন এ প্রক্রিয়া চালু করা হলে ব্রোকারেজ হাউজ গুলো ইন্টারেস্ট পাবে। এ ছাড়া এ প্রক্রিয়া চালু করা হলে কোনো রিফান্ড ওয়ারেন্ট বলে কিছুই থাকবে না। কেউ যদি আইপিও না পায় তাহলের সেই ব্যক্তির টাকা কনসোলেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। যেখান থেকে বিনিয়োগকারীরা সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন করতে পারবে বা টাকা উত্তোলন করতে পারবে।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমানের (সিআই) সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা, সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন, ডিএসই’র সিআরও জিয়াউল হাসান খান, এএফসি ক্যাপিটাল, আইসিবি ও আইডিএলসি’র প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৪