ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বুধবার দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে সূচক ও লেনদেনের নেতিবাচক প্রবণতায়।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।
অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রামের সিএসইতেও আজ লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিলো ৩৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
খাত ভিত্তিক লেনদেনে ডিএসইতে জ্বালানি খাতের অবদান ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের অবদান ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১ দশমিক ১৪ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, ব্যাংক ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রকৌশল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, সিমেন্ট খাত ১৩ দশমিক ৮৬ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অবশ্য সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়েই ডিএসইতে শুরু হয় দিনের লেনদেন। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে।
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ২৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। কিন্তু লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দিনের সর্বনিম্ন ৪ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬৯২ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক প্রায় ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দাম।
বুধবার ডিএসইতে টাকার ভিত্তিতে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণ ফোন, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, তিতাস গ্যাস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, যমুনা অয়েল এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসইএক্স সূচক ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৮ হাজার ৮৩৩ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৪ হাজার ১৫২ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৪