ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবর সূচক সামান্য বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৪৪ কোটি ৮ লাখ টাকা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে মোট ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এদিন ডিএসইতে খাত ভিত্তিক মোট লেনদেনে জ্বালানি খাতের অবদান ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ব্যাংক ৮ দশমিক ২০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রকৌশল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সিমেন্ট খাত ১৪ দশমিক ৭৪ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান ৬ দশমিক ০১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে ডিএসইর লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্ট বাড়ে। এছাড়া দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সূচক দিনের সর্বনিম্ন মাত্র ১ পয়েন্ট বাড়ে। কিন্তু লেনদেন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেস্ক বা ডিএসইএক্স সূচক মাত্র ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৭০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক প্রায় ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৩৪টির দাম।
ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, অলিম্পিক ইন্ডস্ট্রিজ, পদ্মা অয়েল, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং ফ্যামিলি টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৮ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২ হাজার ৬৫ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে স্থির হয় ১৪ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪