ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচক সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেছে মোট লেনদেনের পরিমাণ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স), ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক কমেছে মাত্র ৩২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৩ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। অন্যদিকে, গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ০৫ হাজার ৪১৮ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই’র সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৫৯২ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৯২ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ৯০০ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচকে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ৭৪৬ কোটি ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫১ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৫৫১ কোটি ৭১ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকা।
গত সপ্তাহের ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ২১৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির দাম। লেনদেন হয়নি ৫টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫৭টির, কমেছে ২৩১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৪ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৪৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৫১০ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৪০ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮ কোটি ৭৮ লাখ ৯৮০টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- মেঘনা পেট্রোলিয়াম (৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট (৮ দশমিক ৭১ শতাংশ), ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ), অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ (৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ), তিতাস গ্যাস (৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ), দেশ গার্মেন্টস (৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ), গ্লাসগো স্মিথ ক্লাইন (৬ দশমিক ২৯ শতাংশ), গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স (৬ দশমিক ০২ শতাংশ), এক্সিম ব্যাংক (৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ) এবং সাউথইস্ট ব্যাংক (৫ দশমিক ৫২ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- যমুনা ব্যাংক (১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ), সিটি ব্যাংক (১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ), রূপালী ইন্সুরেন্স (১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ), বিচ হ্যাচারি (১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ), ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স (১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ), মেঘনা পেট (১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ), এপেক্স স্পিনিং(১০ দশমিক ৮০ শতাংশ), সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল (১০ দশমিক ৮০ শতাংশ), ফ্যামিলি টেক্সটাইল (১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং প্রাইম ব্যাংক (১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৩