ঢাকা: শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিপিএল) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন নেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। এই স্থগিতাদেশের ফলে এখন কেপিপিএল আইপিওর চাঁদা তুলতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। আদালতে কেপিপিএলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
এর আগে বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ কোম্পানিটির আইপিও আবেদন নেওয়া স্থগিতের আদেশ দেন।
জনস্বার্থে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইপিও নিয়ে অভিযোগ এনে রিট করেন অ্যাডভোকেট রায়হানুল মোস্তফা। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জিয়াউর রহমান।
রায়হানুল মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ব্যবস্থা নেয়নি বিএসইসি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদালতে ওই সংবাদ যুক্ত করে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে রিট করি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে। এ খবর প্রকাশিত হলেও বিএসইসি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এই আদেশের পাশাপাশি আদালত একটি রুলও জারি করেন। রুলে চাঁদাগ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, বিএসইসি, কেপিপিএল, সোনালী ইনভেস্টমেন্টকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
খুলনা প্রিন্টিংকে আইপিও-এর মাধ্যমে বাজার থেকে মোট ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কোনো প্রিমিয়াম নেওয়া হয়নি।
গত রোববার থেকে এ কোম্পানির আইপিও আবেদন নেওয়া শুরু হয়। যা আগামী ৮ মে পর্যন্ত চলার কথা। আর অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭ মে পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ দশমিক ৮২ টাকা এবং আর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ২৬ টাকা।
বাংলাদেশ সময় : ১৬২৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৪