ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দে ২৮৩ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যা কোম্পানির আইপিও মূল্যের চেয়ে প্রায় সাত গুণ বেশি।
সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে কোম্পানিটির আইপিওতে ৫৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার আবেদন পড়েছে বলে জানিয়েছিল সিএসই। যা আইপিও মূল্যের চেয়ে প্রায় ১৩ গুণ বেশি। পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়।
এতে জানানো হয়, খুলনা প্রিন্টিয়ের আইপিওতে সাধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা মোট ২৬১ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আবেদন জমা দেয়। অন্যদিকে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার আবেদন জমা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫১২তম সভায় আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পায় খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানি।
কোম্পানির শেয়ারের ফেস ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। বাজারে কোম্পানিটি মোট ৪ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে খুলনা প্রিন্টিংয়ের চলতি মূলধন বৃদ্ধি, বাংকের মেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও বাবদ খরচ করবে।
গত ৩০ জুন ২০১৩ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ দশমিক ৮২ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪ দশমিক ২৬ টাকা।
এ কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করবে সোনালী ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
গত ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে খুলনা প্রিন্টিংয়ের আইপিও জমা নেওয়া হয়। আর প্রবাসীদের কাছ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত আপিও আবেদন জমা নেওয়া হয়।
এদিকে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইপিও অনুমোদন নেওয়ার অভিযোগে এক বিনিয়োগকারীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৭ মে হাইকোর্ট এর আইপিওর চাঁদা জমা নেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
এর পরদিন ৮ মে হাইকোর্টের ওই আদেশ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন চেম্বার বিচারপতি।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৩১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪