ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচক বেড়েছে। তবে ডিএসই’র লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসই’র।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স), ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ দশমিক ৯০ পয়েন্ট।
এদিকে সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৪ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে, গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৯ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই’র সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৩৮৪ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৩০ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৮১৪ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১২টির, কমেছে ১৬৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৮৭টির, কমেছে ১৯২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ২৬০ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৬৩ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৪৭৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ২৯ কোটি ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৭টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- এসিআই ফার্মা (১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট (১১ দশমিক ৬০ শতাংশ), এপেক্স ফুড (১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ), আলহাজ টেক্সটাইল (৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ), ওয়াটা কেমিকেল (৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ), তাকাফুল ইসলামী ইন্সুরেন্স (৯ দশমিক ০৩ শতাংশ), সপ্তম আইসিবি মি. ফান্ড (৮ দশমিক ২৫ শতাংশ), মেঘনা সিমেন্ট (৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ), বিএটিবিসি (৭ দশমিক ২৮ শতাংশ) এবং ন্যাশনাল টিউবস(৬ দশমিক ২৭ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স (১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ), অ্যামবি ফার্মা(১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ), স্টান্ডার্ড ইন্সুরেন্স (১০ দশমিক ৪২ শতাংশ), ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম মি. ফান্ড (৯ দশমিক ৫২ শতাংশ), ফ্যামিলি টেক্সটাইল (৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ), জিএসপি ফিন্যান্স (৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ), মালেক স্পিনিং (৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ), ডিবিএইচ ফাস্ট মি. ফান্ড (৬ দশমিক ২৫ শতাংশ), বেক্সিমকো লিমিটেড (৬ দশমিক ২৪ শতাংশ) এবং আরগন ডেনিমস(৬ দশমিক ২২ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৪