ঢাকা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ডেরিভেটিভস ও কমোডিটি মার্কেট চালু হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আসবে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেও মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া।
বৃহস্পতিবার ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমি আয়োজিত ‘বেসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব ফিন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভস’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের ৫৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ডিএসই বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনয়নের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে ডেরিভেটিভস ও কমোডিটি মার্কেট চালুর বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ডেরিভেটিভস মার্কেট প্রবর্তন করা হলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আসবে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে এ মার্কেট বাজারে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে।
এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফিউচার এবং অপশন সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীরা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। ডেরিভেটিভস সিকিউরিটিজ বাজার আসার আগেই সংশ্লিষ্ট সবাই ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে পারবেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ডেরিভেটিভস মার্কেট, ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন এবং কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে তিনটি কমিটি গঠন করেছে এবং ডিএসই ওই কমিটিসমূহের কাছে তাদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখেছে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মূসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হোসেন আহমেদ এনামুল হুদা এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফিন্যান্স বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. মাহবুবুল হক খান বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৪