ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বাজেট পূর্ণাঙ্গ পুঁজিবাজার বান্ধব না : সিএসই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৪
বাজেট পূর্ণাঙ্গ পুঁজিবাজার বান্ধব না : সিএসই

ঢাকা: ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পূর্ণাঙ্গ পুঁজিবাজার বান্ধব হয়নি বলে মনে করছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
 
শনিবার সকালে সিএসইর ঢাকার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর পক্ষে এ মত দেন চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।


 
সংবাদ সম্মেলনে সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, অর্থবিলের মাধ্যমে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ট্যাক্স জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি পুঁজিবাজারকে নিরুৎসাহিত করবে।
 
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবের মধ্যে বাজেট বক্তব্যে আছে দুইটি। আর অর্থবিলে আছে আরও কয়েকটি। আগে গেইন ট্যাক্স ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হতো না। এখন এ সীমা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে আমারা সব সময় বলে এসেছি এটি ৫০ হাজার হলে ভালো হতো। আমরা অর্থবিল পাশ হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাশা করবো এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হবে। কারণ এটি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। রেভিনিউ পাওয়ার থেকে অধিকমাত্রায় বিনিয়োগকারীদের আসলে পুঁজির পরিমাণ বাড়বে।
 
সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজার ১৯৯৬ সালে টাইফয়েড আর ২০১০ সালের জন্ডিস থেকে ওঠে এসেছে। এ অবস্থায় ভালো পথ্য দরকার।
 
কিন্তু অর্থবিলের ভেতরে এই প্রথম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ধরে দেওয়া হয়েছে। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার উপরে ২০ লাখ পর্যন্ত ৩ শতাংশ এবং ২০ লাখের উপরে ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। এটি অতিরিক্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
 
ট্রেডহোল্ডারাদের জন্য নতুন করে ১৫ শতাংশ উৎসে কর জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি ১৫ থেকে ৫ শতাংশ করা উচিত। ১৫ শতাংশ উৎস কর দিতে হলে ট্রেডহোল্ডরদের ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।
 
তিনি আরও বলেন, অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ট্যাক্স সাড়ে ৩৭ থেকে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ট্যাক্স ২৭ শতাংশ ছিল, তাই রয়েছে। এটি পুঁজিবাজারের জন্য নিরুৎসাহব্যঞ্জক। তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্যও ট্যাক্স একই হারে কমানো দরকার ছিল।
 
এ সময় তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পুঁজিবাজার বৃহৎ পুঁজির ব্যবস্থা করে। এ বাজারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগেরকারীদের অর্থ একত্রিত করে বৃহৎ বিনিয়োগ করা সম্ভব।
 
তাই পুঁজিবাজারকে ঊর্ধ্বমুখী রাখা, গতিশীল রাখা আর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সব অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারকে গুরুত্বে দিতে হয়। পুঁজিবাজার অর্থের সঞ্চার করবে, পুঁজি একত্রিতত করবে। এর মাধ্যমে আর্থনীতির গতি সঞ্চার হবে। এজন্য পুঁজিবাজার থেকে কী পরিমাণ রেভিনিউ পাওয়া যাবে তা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো বাজার বৃহৎ পুঁজি গঠনে কতটা সক্ষম।
 
সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। যে পরিবর্তন হয়েছে তা স্থায়ী করতে হবে। কারণ এর সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নির্ভর করবে। তাই ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর যে পরিবর্তন এসেছে, তা ধরে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব না হলেও নেতিবাচক কিছু যাতে না থাকে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
 
কালো টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, কালো টাকা গত কযেক বছর পুঁজিবাজারসহ বেশ কিছু খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী বলেছেন এবার কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে না। যদি তাই হয় তবে অর্থবিলের ১৯(ই) ধরাসহ আরও কয়েকটি ধারা সংশোধন করতে হবে।
 
কালো টাকা বিনিয়োগে বিষয়ে তিনি আরও বলেন, যদি কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে তা একটি একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ও নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।