ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন বাড়লেও সূচকে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং সিএসইর লেনদেন বেড়েছে ১৮২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) কমলেও বেড়েছে ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরীয়াহ সূচক। ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৩৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে ১৫ দশমিক ০১ পয়েন্ট।
এদিকে সিএসইর সব সূচকই কমেছে। এর মধ্যে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২৪৪ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক কমেছে ১৩১ পয়েন্ট। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৯৭ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৪৩০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৯৬ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে।
অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৩৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে।
অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসইর সূচক ওঠানামা করেছে। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট দুই হাজার ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৬টির, কমেছে ২২৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৮টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১২টির, কমেছে ১৬৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৪০৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭১২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৬০ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৩ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৮৬১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৪৭৬টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- ওয়াটা কেমিক্যাল (৫২৯ দশমিক ৬০ ভাগ), আলহাজ টেক্সটাইল (২৩ দশমিক ১৬ শতাংশ), বিএসআরএম স্টিল (১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ), স্টাইল ক্রাফট (১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ), এমজেএল বাংলাদেশ (১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ), রহিম টেক্সটাইল (১৮ দশমিক ০২ শতাংশ), সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ (১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ), জেনারেশন নেক্সট (১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ), গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স (১২ দশমিক ০১ শতাংশ) এবং আরামিট (৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল (১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ), এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড (মি.ফা.) (১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ), এমবিএল ফাস্ট মি.ফা. (১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ), বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম (১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ), প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির (১১ দশমিক ১৬ শতাংশ), গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স (১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ), ইবিএল এনআরবি মি. ফান্ড (১০ দশমিক ০১ শতাংশ), রহিমা ফুড (৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ), আইসিবি এএমসিএল ইসলামিক মি. ফান্ড (৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ) এবং বেক্সিমকো সিনথেটিকস (৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৪