ঢাকা: প্রিমিয়াম নিয়ে যেসব কোম্পানি বাজারে শেয়ার ইস্যু করবে তাদের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য পাবলিক ইস্যু আইন পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে কিছু কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়ায় সমালোচনার মুখে এই পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বিএসইসি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, তারা এখন পাবলিক ইস্যু আইন পরিবর্তনের জন্য খসড়া তৈরি করছে। যা জনমত যাচাইয়ের পরে চূড়ান্ত করা হবে।
বিএসইসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, অনেক কোম্পানিকে অধিক প্রিমিয়াম দিয়ে আইপিও অনুমোদন দেওয়ায় শুরু থেকেই শেয়ার বিশেষজ্ঞ ও স্টেক হোল্ডাররা বিএসইসির সমালোচনা করে আসছিল। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের অফার প্রাইস নির্ধারণের কোনো নিয়ম নেই। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমন নিয়ম করতে যাচ্ছে যেখানে কোনো কোম্পানি বাজারে শেয়ার ছেড়ে টাকা তুলতে চাইলে তাকে কোনো প্রিমিয়াম দেওয়া হবে না। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে শুধু অভিহিত মূল্যে বা ফেসভেলুতে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২০১০ সালের ৯ মার্চ এই পদ্ধতি চালু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৯ জুন সরকারের এক সিদ্ধান্তে এটা স্থগিত করা হয়।
ওই সময় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইস্যু ম্যানেজারকে প্রভাবিত করে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নিয়ে বাজারে আসার অভিযোগ ওঠে। এতে বাজারও অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ে।
বর্তমানে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লকইনের সময় ১৫ কার্যদিবস রয়েছে। যা সংশোধনীতে চার মাস করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৪