ঢাকা: গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। তবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সকল সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে সিএসই’র লেনদেন কমেছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
টাকার হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৫ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ টাকা।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসই’র সকল সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৮১ দশমিক ০২ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট।
এদিকে সিএসই’র সকল সূচকও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩০ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২২২ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই’র সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৩২৮ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) বৃদ্ধি পেয়েছে ৮১ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৪০১ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচক ওঠা-নামা করেছে। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩৯৬ কোটি ৯৮ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮২ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২১০টির, কমেছে ৭৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫২টির, কমেছে ২৩৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ৪টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ২৮৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ২১৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭৬ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬ হাজার ৭৫২টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৩০ কোটি ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসই’র শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- এআইবিএল মি. ফান্ড (১৮ দশমিক ০৩ শতাংশ), বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম (১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ), বেক্সিমকো লিমিটেড (১৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ), বেক্সিমকো ফার্মা ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ), স্টান্ডার্ড সিরামিকস (১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ), ইউনাইটেড এয়ার (১০ দশমিক ১৭ শতাংশ), সিএমসি কামাল (১০ দশমিক ০৯ শতাংশ), সাফকো স্পিনিং (৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ) এবং সামিট পাওয়ার (৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স (১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ), এশিয়া ইন্সুরেন্স (১৬ দশমিক ১২ শতাংশ), সলভো কেমিক্যাল (৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ), তৃতীয় আইসিবি মি. ফান্ড (৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ), স্টাইল ক্রাফট (৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ), আলহাজ টেক্সটাইল (৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ), লিন্ডে বাংলাদেশ (৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ), আফতাব অটোমোবাইল (৫ দশমিক ০৭ শতাংশ), দেশ গার্মেন্টস (৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ) এবং মাইডাস ফিন্যান্স (৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪