ঢাকা: পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মওকুফকৃত ঋণের সুদ এখন থেকে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং স্টক ব্রোকারদের অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
গত ২৫ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এক চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনতে ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়াগকারীদের স্বার্থে সরকারের ঘোষিত বিশেষ স্কিমের আওতায় ২৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ২৮০টি স্টক ব্রোকারকে মওকুফ করা সুদ বিদ্যমান আয়কর আইনে অনুমোদনযোগ্য খরচ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ধারা ২৯ এর উপধারা (১) এর ক্লজ (xv) মোতাবেক ইতোপূর্বে লগ্নীকৃত অর্থের ওপর আরোপিত সুদ সংশ্লিষ্ট বছরে আয় হিসেবে প্রদর্শন করে কর প্রদান করলে এবং পরবর্তীতে ওই সুদ অবলোপন করা হলে তা অবলোপন সংশ্লিষ্ট করবর্ষে ওই মার্চেন্ট ব্যাংক অথবা স্টক ব্রোকারের আয়ের বিপরীতে অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া ওই অবলোপনকৃত অর্থ পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বা আংশিক পুনরূদ্ধার হলে তা অর্থ সংশ্লিষ্ট কর বছরে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৯৪ এর ধারা ১৯ এর উপধারা (১৫) এর ক্লজ (a) মোতাবেক মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকারদের ব্যবসা আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৪