ঢাকা: অস্বাভাবিকভাবে শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানে না ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওয়াটা কেমিক্যাল কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে নোটিস পাঠায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, বাজারে এ কোম্পানির মোট ৪৮ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে মাত্র ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ এবং কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কম সংখ্যক শেয়ার থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক কমিশনারের ইন্ধনে কোম্পানির পরিচালক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি দল এ শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে।
এদিকে বিএসইসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছিল বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ওয়াটা কেমিক্যালের শেয়ার দর যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে স্বার্থান্বেষী একটি মহল জড়িত রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটুও বাংলানিউজকে বলেছেন, ওয়াটা কেমিক্যালের যে পরিমাণ দর বৃদ্ধি পেয়েছে, তা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। বিষয়টি বিএসইসির খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি সভাপতি থাকার সময় কোম্পানির ভিত্তি শক্তিশালী না হওয়ায় ওয়াটা কেমিক্যালকে তালিকাভুক্ত করিনি। তবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন বোর্ড পরবর্তীতে তথ্য যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্ত করেছে।
ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে এসে লেনদেনের শুরুতে একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছেছিল ৮ গুণ বা ৭শ’ শতাংশের বেশি। শেয়ারটির এমন অস্বাভাবিক দর বাড়ায় আশ্চর্য হয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরাসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
গত ১৪ মে ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে ফেরে। গত ৩ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ার ২০৪ টাকায় লেনদেন হয়। যা রোববার ১০ আগস্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৫৩ টাকায় লেনদেন চলছে।
অন্যদিকে, ডিএসইর সাবেক এক সভাপতি বলেন, শোনা যাচ্ছে ওয়াটা কেমিক্যালের দর বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক কমিশনার জড়িত রয়েছেন। এটা সত্য হলে তা বাজারের জন্য খুবই দুঃখজনক বিষয়। এর আগে সিভিও পেট্রোকেমিকেল কোম্পানির শেয়ার দর বাড়াতেও ওই কমিশনার ভূমিকা রেখেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিএসইসির প্রতি আহ্বান জানান। এমনকি এ কোম্পানির শেয়ার কারা ক্রয় করছে বা কারা বিক্রি করছে তা বিএসইসিকে অবশ্যই খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি।
মূল মার্কেটে ফেরার পর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ শেয়ারটি ৪৮৭ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। এর পর শেয়ারটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কমতে থাকে এর দর।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪