ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

এনফোর্সমেন্ট বিভাগে শাহজিবাজারের তদন্ত প্রতিবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪
এনফোর্সমেন্ট বিভাগে শাহজিবাজারের তদন্ত প্রতিবেদন

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির  অস্বাভাবিক লেনদেনের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
 
প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে এ বিভাগ কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।


 
মঙ্গলবার বিএসইসি’র ৫৩৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবারের কমিশন সভায় সাম্প্রতিক কোম্পানির অস্বাভাবিক লেনদেনের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এই প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।   এতে কমিশন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রতিবেদনটি  এনফোর্সমেন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
 
উল্লেখ, শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো ধরনের কারসাজি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে বিএসইসি গত ৯ নভেম্বর একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তাদের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ১৫ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
 
এদিকে কমিটি গঠনের পরও শেয়ারের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গত ১৮ নভেম্বর এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় বিএসইসি। শেয়ারটিকে মার্জিন-ঋণ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ এই শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীকে মার্জিন ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না কোনো ব্রোকারহাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক।
 
গত ১৫ জুলাই সেকেন্ডারি মার্কেটে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন চালু হয়। ওই দিন শেয়ারটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়। তবে পরদিন থেকেই এর দাম তরতর করে বাড়তে থাকে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়। এতো কম সময়ের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম এতোটা বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়। শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি থাকতে পারে এমন সন্দেহে ২ আগস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি।
 
তারপরও দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ১১ আগস্ট বিএসইসির নির্দেশে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারটির লেনদেন স্থগিত করে। এক মাসেরও বেশী সময় বন্ধ রাখার পর গত ২০ অক্টোবর শেয়ারটির লেনদেন চালু করা হয়। কিন্তু ফের আগের মতোই শেয়ারটির দাম বাড়তে  থাকে। ১৯ নভেম্বর এর দাম বেড়ে ৩৩৮ টাকায় উন্নীত হয়।

অবশ্য কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনও এতে ভূমিকা রাখে। গত ১৬ নভেম্বর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে শাহজিবাজার। প্রতিবেদন অনুসারে আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয় ২ টাকা ৩৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৬৩ শতাংশ বেশী। গত বছর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৫১ পয়সা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।