ঢাকা: দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের(সিএসই) ব্যবস্থাপনা থেকে মলিকানা পৃথককরণের (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) পর পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের এসব উদ্যো্গের কিছু অংশ এরইমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে।
সংস্থাগুলোর দাবি চলতি বছরে এসব উদ্যোগের সুফল না মিললেও দীর্ঘ মেয়াদে তা পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীর জন্য সুফল বয়ে আনবে।
সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে নেওয়া উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হল।
বিএসইসি’র পদক্ষেপ
জানুয়ারি মাসে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি, সুপ্রীমকোর্টের পরামর্শে হুমায়ুন কবিরকে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারিতে প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের লক-ইন সময়ের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার, আইপিও, পুনঃপ্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আরপিও) ও রাইট ইস্যুর ক্ষেত্রে তহবিল ব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে দাখিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
মার্চে পুঁজিবাজার ডেরিভিটিভস মার্কেট, ক্লিয়ারিং করপোরেশন ও কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমিটি গঠন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে পাঁচ বছরের (২০১৪-২০১৮) মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য ১৪ দফা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে বিএসইসি। মে মাসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে গ্রিনল্যান্ড ইক্যুইটিসকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ, ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে নতুন আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া চালুর অনুমোদন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিশেষ স্কিমের আওতায় সকল পাবলিক ইস্যুতে ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়াতে সুপারিশ করে বিএসইসি।
জুলাইয়ে বিএসইসিতে অফিস অব দ্য চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে পরামর্শক নিয়োগ এবং আগস্টে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে নতুন আইপিও আবেদন প্রক্রিয়ার পাইলট প্রকল্প চালুর অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখে ঋণাত্মক পোর্টফোলিওগুলোকে লেনদেনযোগ্য করার লক্ষ্যে মার্জিন ঋণ বিধিমালা- ১৯৯৯-এর ৩(৫) উপধারার কার্যকারিতা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি, ১০০ টাকার শেয়ারকে ১০ টাকায় রূপান্তর করে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বিল-২০১৪ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়।
অক্টোবরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রণয়নের নির্দেশনা জারি, ওটিসি কোম্পানিকে মূল মার্কটে ফিরিয়ে আনতে নীতিমালা প্রণয়ন, ক্যাপিটাল রাইজিং, রাই ইস্যু, পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শর্তারোপ করা হয়।
নভেম্বরে আর্থিক প্রতিবেদনের গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট-২০১৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন, মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য প্রদানম ও ইন্টারনেটে লগ-ইন পদ্ধতিতে বিও হিসাবের তথ্য সেবা প্রদান, ডিএসই ও সিএসই খসড়া লিস্টিং রেগুলেশন যাচাই-বাছাই ও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
বিএসইসির অর্জন
অক্টোবরে আইওএসসিও’র মানদণ্ডে বিএসইসি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়ে সনদ অর্জন করে।
একই মাসে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনের(আইওসকো) নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মনোনীত হন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ।
এপ্রিলে বিএসইসি’র চেয়াম্যান ড. খায়রুল হোসেন, কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী ও আরিফ খানের চাকরির মেয়াদ আরও চার বছর, কমিশনার আমজাদ হোসেনের মেয়াদ তিন বছর ১১ মাস, মো. আবদুস সালাম সিকদারের ২ বছর ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
বিএসইসি’র এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্বাভাবিক হারে শেয়ারে দর বাড়া ও কমার কারণে ওয়াটা কেমিক্যাল, সেপ্টেম্বরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও শাহজিবাজার পাওয়ার, এলআর গ্লোবাল, বাংলাদেশ রেটিং এজেন্সি লিমিটেড ও জেএমআই সিরিঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদন অনুসারে বিএসইসি প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
নভেম্বর মাসে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেট মেট্রো সিটি সিকিউরিটিজ হাউসের শামীম আহমেদ ও ফার্স্ট সিকিউরিটিজ সার্ভিসসের সাইফুর ইসলামকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয।
একই মাসেই ২০১০ ও ২০১১ সালে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে মো. গোলাম মোস্তফাকে ৩ কোটি ও মো. মোসাদ্দেক আলী ফালুকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করে বিএসইসি।
আগস্টে বিএসইসি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে শেয়ার ব্যবসা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডিএসই’র সাবেক জিএম খন্দকার আসাদউল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিএসইসি।
ডিএসই ও সিএসই’র উদ্যোগ
জানুয়ারিতে ডিএসইতে শরীয়াহ ইনডেক্স (সূচক) চালু হয় এবং ব্রোকারজ অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর ওয়েবসাইটে বাংলা সংস্করণ চালু ও নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। তাছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে থেকে বিচারপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান মিয়াকে ডিএসইর চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া এ মাসেই অত্যাধুনিক সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার সংযোজন করে ডিএসই।
একইভাবে সিএসই’র পরিচালক নির্বাচনে চারজন ট্রেকহোল্ডার নির্বাচন করে এবং স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে থেকে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে সিএসইর চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়। এছাড়া ১৬ ফেব্রুয়ারি সিএসইর ই-লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়।
মার্চ মাসের নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালু করতে ম্যাচিং ইঞ্জিনের জন্য নাসডাক ওএমএক্স ও অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য ফ্লেক্সট্রেড সিস্টেমসের সঙ্গে ডিএসই’র চুক্তি, গ্লোব ফিন্যান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল ও বিরালা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ডিএসইর পরির্দশন, বিনিয়োগকারীদের জন্য পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ অ্যানালাইসিস কর্মশালার আয়োজন করে ডিএসই।
এপ্রিল মাসে ওয়াল্ড ব্যাংক ডিএসই পরিদর্শন, ব্রোকাদের নিয়ে করপোরেট গর্ভনেন্সের ওপর কর্মশালা, লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+২ চালুর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই।
মে মাসে ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ফিন্যান্সিয়াল ডেরিভিটিভসের উপর কর্মশালা, ইর্ন্টারনাল অডিট, রিক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোলের ওপর কর্মশালা করে ডিএসই।
জুন মাসে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের ৫ বছরের কর অব্যাহতি এবং লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত, ‘প্যান এশিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ’ নামে আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের উদ্দেশ্যে চীনের কুনমিংয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ডিএসই ও সিএসই’র প্রতিনিধিরা।
আগস্টে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসদের নিয়ে নতুন আইপিও প্রক্রিয়ার উপর মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা, কোরিয়া এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন, বিনিয়োগকারীদের টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিসের ওপর কর্মশালার আয়োজন করে ডিএসই।
সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ডিএসই পরিদর্শন, সিএসই’র মালদ্বীপ স্টক এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন, নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থার একাংশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসের (ওএমএস) ওপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ডিএসইর সঙ্গে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
অক্টোবরে সিএসই শরীয়াহ ও বেঞ্চমার্ক নামে দুই ইনডেক্স (সূচক) চালু, সিএসই ইন্টারনেট ট্রেড ফেয়ার, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ অ্যানালাইসিস কর্মশালা আয়োজন করে ডিএসই।
নভেম্বর মাসে ডিএসই ক্লিয়ারিং হাউস গঠনের লক্ষ্যে কোরিয়া এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তি, ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস কর্মশালা করে ডিএসই।
চলতি বছরের ডিসেম্বর ডিএসইতে নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
লেনদেন নিষ্পত্তিতে বিভ্রাট
অক্টোবরে সিডিবিএল নিষ্পত্তিজনিত বিভ্রাট দেখা দেয়। পরে সিডিবিএল ও ভারতীয় সফটওয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান (ভেন্ডার) সিএমসি যৌথভাবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা করে সমাধান করে।
এপ্রিলে ডিএসইতে লেনদেন শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিট পর কিছু ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডিং সার্ভার ও ট্রেডার ওয়ার্ক স্টেশন ডিএসইর মূল ট্রেডিং সার্ভার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে এদিনে ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংক:
ফেব্রুয়ারি মাসে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির(অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) হিসাবসহ পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ৫০ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নভেম্বরে শেয়ার ধারণের উপর নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা অনুযায়ী যে সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫ ভাগের সমপরিমাণ শেয়ার ধারণ করে আছেন, তাদের নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে না।
তবে এ ধরনের শেয়ারধারীদের আগামী ১ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত নতুন ছক অনুযায়ী শেয়ার ধারণ সম্পর্কিত তথ্য দেওয়ার বিধান রাখা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
জুনে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মওকুফ করা ঋণের সুদ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদযোগ্য ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘোষণা দেয়।
আইপিও অনুমোদন
গত নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮টি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হল- শাহজিবাজার পাওয়ার, ফার কেমিক্যাল, দ্য পেনিন্সুলা টিচাগাং, তুং হাই নিটিং, খুলনা প্রিন্টিং প্যাকেজিং, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, সুহৃদ ইন্ডাষ্ট্রিজ, সাইফ পাওয়ারটেক, রতনপুর স্টিলস রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম), ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপএয়ার্ড, খান ব্যাদার্স, হামিদ ফেব্রিক্স, ন্যাশনাল ফিডস, ইফাদ অটো, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস, জাহিন স্পিনিং, শাশা ডেনিমস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
রাইট ইস্যু অনুমোদন
নভেম্বর পর্যন্ত ৭টি কোম্পানির রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হল- ব্র্যাক ব্যাংক, জেনারেশন নেক্সট, ডেল্টা স্পিনিং, মাইডাস ফাইন্যান্স, আইসিবি, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি), ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫