২০১৭ সালের শুরু থেকে লেনদেন ধীরে ধীরে বেড়ে হাজার কোটির গড় থেকে দেড় হাজার কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে পুঁজিবাজারের সব সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী।
ডিএসইর তথ্য মতে, চলতি বছরের মোট ১৪ দিনের মধ্যে (রোববার বাদে) পুঁজিবাজারে দশ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের উভয় বাজারে নয় কার্যদিবস সূচক বেড়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে।
নতুন মূলধন যোগ হওয়ায় ডিএসই’র বাজার মূলধন ৩ লাখ ৪১ হাজার ২৪৪ কোটি ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৬৯ কোটি ৫৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকায়।
বাজার সংশিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকের আমানতের সুদের হার ব্যাপক হারে কমানোর কারণে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করছেন।
পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাপক তারল্য রয়েছে। এর ফলে তারা লাভের আশায় এ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। এতে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। এ কারণে লেনদেন প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
বাজারের সার্বিক বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউনন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। এর ফলে নগদ তহবিলের প্রবাহ প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
তিনি বলেন, মানি মার্কেটে বিনিয়োগের চেয়ে ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগে লাভ বেশি থাকায় বিনিয়েগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংকের সেভিংসের ইন্টারেস্টের পরিমাণ ৭ শতাংশ হওয়ায় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা আরেকটু লাভের আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। অপরদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে এখন যথেষ্ট পরিমাণ তারল্য রয়েছে। তারাও এ টাকা এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। এর ফলে প্রতিনিয়তই পুঁজিবাজারে লেনদেন, সূচক ও শেয়ারের দাম বাড়ছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতার জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে সংস্কারসহ আইন-কানুন অনেক শক্ত করেছি। এছাড়া মানি মার্কেটের সুদের হার অনেক নিচে রয়েছে। সুদের হারসহ সবগুলো ইন্ডিকেটর অনেক কম আছে। ফলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস