বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ডিএসইতে ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিনিয়োগকারীদের এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ভয় পাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
গত ৫ বছরের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পুঁজিবাজারের উত্থানের সামঞ্জস্য ছিল না উল্লেখ করে রকিবুর রহমান বলেন, গত ৩ মাসে এ সামঞ্জস্য হচ্ছে। কিন্তু এ স্বাভাবিকসামঞ্জস্য নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছে।
হঠাৎ করে গত ৩ মাসে পুঁজিবাজারে উত্থানের কারণ হিসেবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ বা গুরুত্ব দেওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন রকিবুর রহমান। আর শেয়ার হাতবদল বেশি হওয়ার কারণে লেনদেন বেশি হচ্ছে ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে মূল্যসূচক বড় ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে যোগ করেন তিনি।
আরও বলেন, অনেক সময় স্মার্ট বোদ্ধারা শেয়ার দর কৃত্রিমভাবে উঠা-নামা করানোর চেষ্টা করে। এরা শুধু পুঁজিবাজার বাড়লেই নেতিবাচক মন্তব্য করে। কিন্তু পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থায় কোনো মন্তব্য করে না। এরা হয়তো পুঁজিবাজার পছন্দ করে না।
পুরাতন খেলোয়াড়রা শেয়ারবাজারে খেলা করছে ইব্রাহিম খালেদের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন রকিবুর রহমান। একইসঙ্গে গত ২ বছর ধরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ পরিমাণ কি খেলা করানোর লক্ষ্যে বাড়াচ্ছে কি না- এমন প্রশ্ন রাখেন?
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক রুহুল আমীন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর এমডি বলেন, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই গত কয়েক মাস ধরে বাজার ক্রমেই গতিশীলতার দিকে এগুচ্ছে। এখন বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
মাজেদুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান তুলনা মূলকভাবে কম। আমরা চেষ্টা করছি আগামী তিন বছরের মধ্যে উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জিডিপি-তে পুঁজিবাজারের মূল অবদান বাড়াতে। এই লক্ষ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আমরা বলতে পারি যে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগতভাবে পুঁজিবাজার এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত।
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতাও নির্ভর করে চহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবরাহের উন্নয়নের উপর। এখানে যেমন আর্থিক তারল্যের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভালো শেয়ারের সরবরাহ নিশ্চিত করা। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আনতে যথেষ্ট নয়। তাই বাজারের অতিরিক্ত চাহিদার কথা মাথায় রেখে বহুজাতিক কোম্পানিসহ রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানিগুলোর শেয়ার সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। এতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থের যোগান সৃষ্টির পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতি হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ