এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে প্রায় ৮৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৬১ পয়েন্ট।
সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে চলে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন। যা অব্যাহত ছিলো দিনের বাকি লেনদেন পর্যন্ত। দিন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং বাজার মূলধন।
বাজারের সার্বিক পরিস্থিতিকে মূল্যসংশোধন বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, উত্থানের পর দরপতন এটা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম। গত কয়েকদিন টানা উত্থান হয়েছে। এই মুহূর্তে বাজারে মূল্য সংশোধন জরুরি ছিলো। তা না হলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তো।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩০২টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার।
এদিন তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬২১ পয়েন্টে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ১২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৮ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১৪ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ২২৮টির এবং আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি কোম্পানির শেয়ার।
সিএসইতে সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৯৪ লাখ ৪ হাজার ৮১৩ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯২ টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১১৯ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৬ টাকার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৮২টির এবং ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস