চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৪৭ পয়েন্ট।
এর ফলে পুঁজিবাজারে টানা তিন কার্যদিবস সূচক পতন হলো।
আগের দিনের মতোই সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় রোববার দিনের লেনদেন শুরু হয়ে ধারা অব্যাহত থাকে শেষ পর্যন্ত। দিন শেষে সূচকের পাশাপাশি উভয় বাজারে কমেছে লেনদেন, বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও বাজার মূলধন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পাশাপাশি টানা সূচকের উত্থান এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির কারণে দরপতন হয়েছে। তবে এতে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই। মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিশেষ কিছু আছে কি না তা সঠিকভাবে দেখার পরই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ডিএসইতে ৩১ কোটি ৪১ লাখ ৯২ হাজার ৮৪০টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ১ হাজার ১৩৭ কোটি১৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২৬৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৮ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার।
এদিন তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১১৭দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫০০ পয়েন্টে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক১৭ দশমিক৭০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ২৭৫টির এবং আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির শেয়ার।
সিএসইতে সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৪৭ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭২ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৪৮৪ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮৩ কোটি ৯৪ লাখ ৪ হাজার ৮১৩ টাকার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ২১৯টির এবং ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এমএফআই/আরআইএস/এমজেএফ