বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিডিবিএলের তথ্য মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিলো ২৯ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৮টি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় বাজার ভাল হওয়ার বিনিয়োগকারীরা এখন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র জন্য বিও হিসাব খুলছে না। ফলে এখন যারা বিও হিসাব খুলছেন, তারা সবাই সেকেন্ডারি মার্কেটের জন্য বিও হিসাব খুলছেন। সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ করছেন।
এর ফলে আলোচিত এ মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে মোট ২৩ কার্যবিদস লেনদেন হয়েছে। এতে দেশের পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৪ হাজার ২৩২ কোটি ০১ লাখ ৫১ হাজার ৪৫১টাকার লেনদেন হয়েছে। গড়ে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। যা গত ছয় বছরের মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন।
আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্র।
বিএসইসির তথ্যমতে, নভেম্বর মাসের আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজারের মতো বিও হিসাব থেকে শেয়ারের কেনাবেচা হয়েছিল। সেখান থেকে বেড়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৮০ হাজারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ সেকেন্ডারি বাজারে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজারের বেশি বিও হিসাব থেকে শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজে বলেন, সরকারি উদ্যোগের ফলে ছয় বছর পর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। অল্প দামে ভাল কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারায় পুরাতন বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাজারে ফিরছেন। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১,২০১৭
এমএফআই/বিএস