রোববার সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়ে চলে সোয়া বেলা ১১টা পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন।
দিন শেষে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট। তবে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। তার আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তার আগের দিন বুধবার টানা সাত কার্যদিবস পর সূচক পতন হয়েছিলো।
বাজার সংশ্লিষ্টরা এ অবস্থানকে মূল্য সংশোধন বলে মনে করেন। তারা বলছেন, উত্থানের পর দরপতন এটা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
ডিএসই’র তথ্য মতে, রোববার ডিএসইতে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭টি সিকিউরিটিজের হাত বদল হয়েছে। এতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৬২ কোটি টাকার। তার আগের দিন বুধবার লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৫৩ কোটি ৬১ লাখ ২ হাজার টাকার।
তিন সূচকে পথচলা ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে।
পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ্ সূচক ২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১০৭টির এবং ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস