সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত নেয় বলে আইডিআরএ সূত্র জানায়।
ফলে নির্ধারিত সময়ের পর পুঁজিবাজারে আসতে আরো ২ বছর সময় পেলো সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের প্রথম দিকে অনুমোদন পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের এই বিমা কোম্পানি ব্যবসা শুরু করে একই বছরের শেষ দিকে। সেই হিসেবে ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে আসার (তিন বছর পার হওয়ার) কথা ছিলো। কিন্তু তার পরির্বতে নতুন করে আরো ২ বছর সময় বৃদ্ধির জন্য আইডিআরএ কাছে আবেদন করে কোম্পানিটি।
এরপর সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সভায় আইপিওর মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের সময় বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির মূলধন ও শেয়ার ধারণ বিধিমালা ২০১৬ এর ৩ এর উপধারা-বিধি ১ অনুযায়ী আইপিও‘র মাধ্যমে সিকদারকে পুঁজিবাজারে আসতে ২বছর সময় দেয় কর্তৃপক্ষ।
সূত্র আরও জানায়, বিমা ব্যবসা শুরু ৩ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্তে নিবন্ধন পায় কোম্পানিটি। তবে বিমা প্রবিধান মালায় বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা প্রতিষ্ঠানের বড় কোনো সমস্যা থাকলে আরো ২ বছর সময় চেয়ে আবেদন করতে পারে।
আর সেই আইন অনুসরণ করেই কোম্পানিটি আরো ২ বছর সময় বাড়ানো হয় বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন আইডিআরএ’র বিদায়ী সদস্য সুলতান-উল- আবেদিন মোল্লা।
তিনি বলেন, কোম্পানিটি যদি আগামী ২বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে না আসতে পারে তার জন্য প্রতিদিন জরিমানা গুনতে হবে। তবে এর পরের ৫ বছরের মধ্যেও যদি পুঁজিবাজারে আসতে না পারলে বিমা ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল হবে কোম্পানিটির।
সিকদার গ্রুপের মমতাজুল হক সিকদার ও জয়নুল হক শিকদারের ‘সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২০১৪, ১৫ এবং ১৬ সালে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিকুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ