দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের প্রকাশিত তথ্য মতে, ওষুধ ও রাসায়ন খাতের এই প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা দেখানো হয়েছে ৩২ কোটি ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা। এর আগে কোম্পানিটির অর্ধবছরে পরিচালন মুনাফা দেখানো হয়েছে ৮৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার টাকা।
ফলে নয় মাসে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা হওয়ার কথা ১১৯ কোটি ৯৭ লাখ ১ হাজার টাকা। কিন্তু ডিএসইর ওয়েবসাইটে নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে ১১৯ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার তথ্যে গরমিল রয়েছে। একই চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে কর পরবর্তী মুনাফার ক্ষেত্রেও। এখানেও ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার তথ্য গরমিল রয়েছে।
এছাড়াও কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ ও ২ প্রান্তিকে যথাক্রমে দেখানো হয়েছে ১৪.২৯০ এবং ১৩.৬১০ পয়সা। যা অর্ধেক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৯০০ পয়সা। এর সঙ্গে ৩ প্রান্তিকে ১০ দশমিক ১৮০ পয়সা যোগ হলে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ০৮০ পয়সায় কিন্তু ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছে ৩৮ দশমিক ০৪০ পয়সা।
এই গরমিল তথ্যের কারণে ডিএসই ওয়েবসাইটে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। এর আগেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রথমে তথ্যের গরমিল ছিলো। ডিএসইর পদক্ষেপের ফলে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করে কোম্পানি। কিন্তু তৃতীয় কোয়ার্টারেও আবারও তথ্যের গরমিল দেখা গেছে।
গরমিল তথ্যের কারণ ও প্রকৃত তথ্য জানাতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ডিএসইর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির কপি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (বিএসইসি) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
ডিএসই সূত্র মতে, ২০০৯ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১ হাজার ১ দশমিক ৭০ টাকা। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শেয়ার হোল্ডারদের ২০১৫ সালে ৪২৫ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৪৫০ শতাংশ নগদ অর্থ লভ্যাংশ দিয়েছে।
শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৯০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ