ডিএসই’র তথ্য মতে, ট্রেজারি বন্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং তালিকাভুক্ত ৫ শতাধিক কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে বিশটি খাতে তালিকাভুক্ত রয়েছে। খাতগুলো থেকে মার্চ মাসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা।
ফলে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২ হাজার ৩৬৫ কোটি ২৯ লাখ ৯ হাজার টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় ক্রেতাবিহীন পড়ে থাকা ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে মার্চ মাসে লেনদেনের শীর্ষে উঠেছে ব্যাংক খাত। বাজারে তালিকাভুক্ত ত্রিশটি ব্যাংকের প্রায় সবক’টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে লেনদেনে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিলো ১৯ হাজার ৪০৪ কোটি ৮৪ লাখ ১ হাজার টাকার। মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৭৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৭১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৮ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিলো ২ হাজার ৩৬২কোটি ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা।
আর ২ হাজার ৯৬১ কোটি ১২ লাখ ৯ হাজার টাকা লেনদেন নিয়ে মার্চে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। যদিও আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এ খাদে লেনদেন হয়েছিলো ৩ হাজার ৮ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার টাকা।
এছাড়াও তৃতীয় স্থান দখল রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। এ খাতের শেয়ারগুলো ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৯৫১ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের মাসে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ২২৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫ হাজার টাকার।
চতুর্থ স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাত। এ খাতে মার্চ মাসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০৬ কোটি ১৬ লাখ ৪ হাজার টাকার। ফেব্রুয়ারি মাসে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ২২৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫ হাজার টাকা।
এ চার খাতের অবদান ডিএসই’র মোট লেনদেনের ৬২ শতাংশ। বাকি ১৬ খাতের অবদান ডিএসই’র মোট লেনেদেনের ৩৮ শতাংশ।
অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা খাতগুলো হলো- বন্ড, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং, পাট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্যানারি, সিরামিক, আইটি, ট্রাভেলস, টেলিকম ও বিমা খাতের শেয়ার। বাজারে এসব খাতের অবদান দুই অংকের কোটার নিচে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস