বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরাতে (আইসিসিবি) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গ্রামীণফোন বোর্ড চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফার লাসকা, সিইও পেটার বি ফারবার্গ, অন্যান্য বোর্ড সদস্য ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা পরিচালনা করেন কোম্পানির সেক্রেটারি হোসেন সাদাত।
সভায় চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে কোম্পানির উপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ার হোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, ডিজিটাল সেবাদানকারী হিসেবে পরিণত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এছাড়াও সিইও কোম্পানির পরিচালনাগত ও আর্থিক সাফল্যের কথা এবং সফলভাবে থ্রিজি চালু করার কথা উল্লেখ করেন।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, গ্রামীণফোন ২০ বছরের এক সাফল্যের কাহিনী। আমরা প্রায় ৬ কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে এবং যোগাযোগ ও ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষমতায়ন করতে পেরে গর্বিত। গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং সবচেয়ে বেশি কর্পোরেট কর দিয়েছে। ৩৩ হাজার সাধারণ বিনিয়োগকারী নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে।
গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে ৮৫ শতাংশ নগদ অন্তবর্তী লভ্যাংশ দেয়। গ্রামীণফোনের বোর্ড আরও ৯০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেন, ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় পরিশোধিত মূলধনের ১৭৫ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ১৭ দশমিক ৫ টাকা)। শেয়ার হোল্ডারগণ ২০১৬ সালের জন্য সুপারিশকৃত লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। বিগত বছরগুলোর মতো এবছরও গ্রামীণফোন দ্রুততার সঙ্গে অনলাইনে শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করবে।
গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবার পর এটি ছিল অষ্টম বার্ষিক সাধারণ সভা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
আরবি/এসএইচ