পাশাপাশি প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, খাদ্য-ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর ফলে টানা পাঁচ কার্যদিবস সূচক দরপতনের পর মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই কার্যদিবস উভয় বাজারে সূচক উত্থান হলো।
বুধবার সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শুরু হলেও আইসিবিসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মার্টেক সাপোর্টের ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬১ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। সূচক বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং বাজার মূলধন।
ডিএসই’র তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ১৯ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৬টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ ৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫০০ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার।
এদিন তিন সূচকে পথচলা ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৮ পয়েন্টে এবং শরীয়াহ্ সূচক ৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০১টি, কমেছে ৮৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৮ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৯২ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৫ কোটি ৫ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৭ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬৪ টাকার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০টি, কমেছে ৬৩টি এবং ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস