ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

সামিট এলায়েন্সের আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
সামিট এলায়েন্সের আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিল ডিএসই ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিল পাওয়া গেছে। ফলে কোম্পানির প্রকৃত মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয়ের (ইপিএস) তথ্য থেকে বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, সার্ভিস ও রিয়েলস্টেট খাতের প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা (প্রফিট ফর কন্টিনিউংলি অপারেশন) দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেখানো হয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার টাকা।

সব মিলে যোগফল দাঁড়ায় ৮ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার টাকায়। অথচ ডিএসই’র ওয়েবসাইটিতে অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১৮ লাখ ৯ হাজার টাকার গরমিল দেখ‍ানো হয়েছে।

একই ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ‘কম্প্রিহেন্সিভ ইনকাম ফর দ্য পিরিয়ড’ ক্যাটাগরিতে। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয় ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৩ হাজার টাকা।
সে হিসেবে দুই প্রান্তিকের যোগফল ৮ কোটি ৭৩ লাখ ২ হাজার টাকা। কিন্তু কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিক পরিচালন মুনাফা দেখানো হয়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ ২ হাজার টাকা।

এছাড়াও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ম ও ২য় প্রান্তিকে যথাক্রমে দেখানো হয়েছে ০.১৪০ পয়সা ও ০.২৩০ পয়সা। যা অর্ধেক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৩৭ পয়সা। কিন্তু ডিএসই’র ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছে, ০ দশমিক ৩৬০ পয়সা। অর্থাৎ ০ দশমিক ১ পয়সা গরমিল দেখানো হয়েছে।
 
এ গরমিল লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে  ডিএসই’র ওয়েবসাইটে। প্রকৃত তথ্য জানাতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ডিএসই’র পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির কপি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (বিএসইসি) দেওয়া হয়েছে।
 
ডিএসই সূত্রমতে, ২০০৮ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪১ দশমিক ৪০ টাকা। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডারকে ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ নগদ অর্থ লভ্যাংশ দিয়েছে।
 
শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এমএফআই/এসআরএস/ জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।