ফলে মোবাইল ফোনে ডিএসই’র শেয়ার লেনদেন প্রক্রিয়া দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত এক বছরে ডিএসই’র অ্যাপসের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেনকারী বেড়েছে ১৪ হাজার।
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুবিধার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ডিএসইতে মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। ফলে মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সর্বোত্তম সুবিধা বিনিয়োগকারীর দোরগোড়ায় পৌঁছাতে কাজ করছে ডিএসই।
ডিএসই সূত্র জানায়, বিশ্বের অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ শেয়ার লেনদেনে ‘ডিএসই মোবাইল অ্যাপ’ চালু করেছে ডিএসই। যাতে পুঁজিবাজারের লেনদেনকে সর্বাধুনিক ও সহজসাধ্য করা হয়েছে। এটি ডিএসইর আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ।
এ কারণে ধারাবাহিকভাবে মোবাইলে শেয়ার লেনদেনকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ডিএসই’র তথ্যমতে, ২০১৬ সালের মার্চে ২০০ বিনিয়োগকারী দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ডিএসই অ্যাপ। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বর এ সুবিধা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজারে।
একই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১০ হাজার, মার্চে ১২ হাজার, এপ্রিলে ১৩ হাজার। সবশেষ মে মাস শেষে বেড়ে ১৪ হাজার ২৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, মোবাইলে শেয়ার লেনদেন আরো বাড়বে। এখন হাতেগোনা কয়েকটি হাউজে এ সুবিধা চালু রয়েছে। বাকিরা চালুর প্রক্রিয়ায়। পুরোপুরি শুরু হলে তখন এ সংখ্যা আরো বাড়বে।
সূত্র জানায়, মোবাইলে লেনদেন প্রক্রিয়ায় তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজগুলোর জন্য, বাকি দু’টি বিনিয়োগকারীদের জন্য।
বিনিয়োগকারীদের দু’টি ভার্সনের মধ্যে একটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ভিআইপি। এটি দিয়ে সরাসরি লেনদেন করা যাবে না। বিনিয়োগকারী মোবাইলে শুধু তার পোর্টফোলিও দেখতে পারবেন।
অন্যটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার। এ ভার্সন ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী নিজে লেনদেন করতে পারবেন। তবে কোনো বিনিয়োগকারী বাজার দামের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড অফার করলে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডার সেই আদেশ বাতিল করতে পারেন। কিন্তু বাজার দামের আদেশ দিলে তা বাতিল করার ক্ষমতা ট্রেডারের থাকে না।
সেজন্য বিনিয়োগকারীকে নিজ নিজ ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ইউজার আইডি (ব্যবহারকারীর পরিচয়) এবং পাসওয়ার্ড (গোপন নম্বর) নিতে হবে। এরপর লেনদেন চলাকালে স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ঢুকে এমএ প্লাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ার বেচাকেনার অর্ডার দেওয়া যাবে। এ অর্ডার কার্যকর হলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মোবাইলে একটি বার্তা আসবে।
তবে যারা একাধিক বিও হিসাব পরিচালনা করেন তাদের প্রতিটি বিও অ্যাকাউন্টের জন্য পৃথক ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিতে হবে। এজন্য তাকে মাসিক ফি দিতে হয়।
মোবাইলে শেয়ার লেনদেন চালু হলে একদিকে বাজারে বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা বাড়বে। অপরদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে স্বচ্ছতাও বাড়বে। ফলে তারল্য সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
ডিএসই ওয়েবসাইটে ‘ডিএসই-মোবাইল’ কর্নারে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ‘ডিএসই-মোবাইল’ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যাবহারকারীদের দ্রুততার সঙ্গে যেকোনো সমস্যার সমাধান দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস