মঙ্গলবার (জুন ১৩) বিএসইসির ৬০৬ তম কমিশন সভায় ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর সংশোধনীতে কিছু পরিবর্তন এনে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইপিওর দুই ধরনের পদ্ধতি ফিক্সড প্রাইস ও বুক বিল্ডিংয়ের সংশোধনীতে ৩টি করে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যা নিম্নরূপ।
ফিক্সড প্রাইসের ক্ষেত্রে
ইস্যুয়ার কোম্পানির সর্বশেষ বছরের কর পরবর্তী নিট প্রফিট এবং নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ধণাত্মক থাকতে হবে। পূর্বে এটা দুই বছরের জন্য প্রযোজ্য ছিলো।
যোগ্য বিনিয়োগকারী তার জন্য বরাদ্দকৃত শেয়ারের ২ শতাংশের বেশি শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে আইপিও আবেদন জমা দেবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে
ইস্যুয়ার কোম্পানিকে পাবলিক অফারের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে। ইস্যুয়ার কোম্পানির কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। যা এর আগে ১৫ কোটি টাকা ছিল।
কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা তাদের জন্য বরাদ্দ শেয়ার কোটার ২ শতাংশের বেশি শেয়ারের জন্য কোট করতে পারবে না। আগে যা ১০ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ১৩ জুন, ২০১৭
এমএফআই/আরআই