মঙ্গলবার (৪ জুলাই) শিল্প ও বন্দর নগরী খুলনার ১৭টি সিকিউরিটিজ হাউসের বেশ কয়েকটির কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে এ কথা জানান।
সিকিউরিটিজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, ঈদ পরবর্তী কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেনে চাঙাভাব বিরাজ করায় সিকিউরিটিজ হাউসগুলোর শূন্য আসন আবার বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে ভরে উঠেছে।
রয়্যাল ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ হাউস খুলনা শাখার কর্মকর্তা রুবায়েতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ফের পুঁজিবাজারের লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরাও হাউসে আসতে শুরু করেছেন। এতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে হাউসগুলো। আমাদেরও কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
তিনি জানান, বাজারে লেনদেনের যে ধরন তা বিনিয়োগকারীদের মনে আশা জাগিয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিনের আতঙ্ক কেটেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে থেকে।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী সুলতান আহমেদ জানান, পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বাড়ায় আমরা আশাবাদী হয়ে হাউসে ফিরেছি। এ আশা যেন দূরাশায় পরিণত না হয় সেটাই কামনা করছি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে।
বিনিয়োগকারী মনিরুজ্জামান বলেন, বাজার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের ফলে লেনদেন ও সূচকের উন্নতি হয়েছে। ফলে সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হচ্ছেন।
খুলনা ইনভেস্টর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ ডাকুয়া বলেন, বাজার ক্রমান্বয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। হারানো গৌরব ফিরে পেয়েছে ব্যাংকিং খাত। এতে বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন।
তিনি জানান, খুলনার ১৭টি সিকিউরিটিজ হাউসের প্রায় অর্ধ লাখ বিনিয়োগকারী রয়েছেন। যাদের মধ্যে দীর্ঘদিন অনেকেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। বাজারে গতি ফিরে পাওয়ায় তারা হাউসে আসতে শুরু করেছেন।
আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ হাউসের খুলনা শাখা ব্যবস্থাপক তাপস কুমার সাহা বলেন, বাজারের কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সিকিউরিটিজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ও লেনদেন বেড়েছে। কিছু শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মনে এক প্রকার স্বস্তি বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পরে পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি ফিরেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এখন সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন।
তিনি জানান, রজমানের কারণে গত মাসে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম ছিল। এতে লেনদেনও কম হয়। তবে ঈদের পর চাঙা বাজারে মুনাফার আশায় অনেক নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী বাজারে আসছেন। এতে লেনদেন বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এমআরএম/এএ