উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে নতুন করে ডিএসই এক্স সূচকটি চালু করা হয়। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছিল।
এদিন সূচকের তেজিভাবের মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে চলে সকাল ১০টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় সূচকের পতন। যা অব্যাহত ছিলো বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। তবে দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচকের ওঠানামার মধ্যদিয়ে। দিন শেষে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ২২ পয়েন্ট। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ফলে টানা তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থান হলো। তার আগে গত রোববার সূচক কমেছিলো ১ পয়েন্টের বেশি। তবে তার আগে টানা ছয় কার্যদিবস উভয় বাজারে সূচকের উত্থান হয়েছিলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৩টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২২৩ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার। তার আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮৫৫ কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকার।
তিন সূচকে পথ চলা ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৬ পয়েন্টে বেড়ে ২ হাজার ১২০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ্ সূচক ৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৮ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৮২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬২ টাকা।
এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮০ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ৩৮ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৯ টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৬৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬৩ টাকার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১০৭টির এবং ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এমএফআই/আরআই